সাজেক বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ও সুন্দর পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে একটি। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য স্বর্গসদৃশ। এখানে সবসময় মেঘের খেলা, সবুজ পাহাড় আর আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
সাজেক রাঙামাটি জেলার উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১,৮০০ ফুট উঁচু। এটি বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত। মূলত ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা আদিবাসীদের বসবাস এই অঞ্চলে।
সাজেকের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো এর মেঘ। ভোরবেলা পুরো এলাকা মেঘে ঢেকে যায়, যা দেখতে অত্যন্ত মনোরম।
এখানকার পাহাড়গুলো সারাবছর সবুজ থাকে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন সবুজ কার্পেট বিছানো।
সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান হলো কংলাক পাহাড়। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।
এটি একটি আদিবাসী গ্রাম। এখানকার লোকজ সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
সাজেকের সর্বোচ্চ পয়েন্ট। এখান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ উপভোগ করা যায়।
এই রাস্তা দিয়ে হাঁটলে মনে হয় যেন মেঘের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।
এখানে ছোট ছোট ঝর্ণা ও সবুজ ভ্যালি দেখা যায়।
এটি সাজেকের একটি জনপ্রিয় স্পট। এখান থেকে পুরো সাজেকের দৃশ্য দেখা যায়।
বাসে: ঢাকা থেকে রাঙামাটি বা খাগড়াছড়ি, তারপর চান্দের গাড়ি বা জীপে সাজেক।
ফ্লাইট: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, তারপর রাঙামাটি হয়ে সাজেক।
খাগড়াছড়ি থেকে জীপ বা চান্দের গাড়ি ভাড়া করে সাজেক যাওয়া যায়।
রিসোর্ট ও হোটেল: সাজেকে অনেক ভালো মানের রিসোর্ট আছে।
হোম স্টে: আদিবাসী পরিবারের সাথে থাকার ব্যবস্থাও আছে।
স্থানীয় খাবার: বাঁশের কোড়ল, পাহাড়ি মাছ, আদিবাসী রান্না।
সাধারণ খাবার: ভাত, ডাল, সবজি।
শীতকালে গরম কাপড় নিতে ভুলবেন না।
রাস্তাঘাট সংকীর্ণ ও বিপজ্জনক হতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন।
সাজেক প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। এখানকার মেঘ, পাহাড় ও আদিবাসী সংস্কৃতি আপনাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যাবে। সাজেক ভ্রমণ আপনার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতাগুলোর একটি হবে।
"মেঘের ভেলা, সবুজের মেলা,
সাজেক তোমায় ভালোবাসি!"
আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন এর অর্থ হল: আপনি আমাদের ব্যবহারের শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন।