রসমালাই বাংলাদেশ ও ভারতের একটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। এটি নরম ছানা বলের সাথে মিষ্টি ক্ষীরের সমন্বয়ে তৈরি হয়, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুখরোচক। বিশেষ অনুষ্ঠানে বা গেস্ট আপ্যায়নে রসমালাই একটি আদর্শ মিষ্টি। আজ আমরা শিখবো কিভাবে ঘরেই সহজে রেস্টুরেন্ট স্টাইলের রসমালাই বানানো যায়।
দুধ – ১ লিটার (ফুল ক্রিম)
লেবুর রস – ২-৩ টেবিল চামচ (বা ভিনেগার)
ময়দা – ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক, ছানা নরম রাখতে)
চিনি – ১ কাপ
পানি – ২ কাপ
এলাচ গুঁড়া – ½ চা চামচ
দুধ – ১ লিটার (গাঢ় করতে)
চিনি – ½ কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)
এলাচ গুঁড়া – ½ চা চামচ
কেশর (জাফরান) – সামান্য (ঐচ্ছিক)
পেস্তা বা কিশমিশ – সাজানোর জন্য
একটি পাত্রে ১ লিটার দুধ ফুটিয়ে নিন।
দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে লেবুর রস বা ভিনেগার দিন।
দুধ ফেটে ছানা ও পানি আলাদা হয়ে গেলে আগুন বন্ধ করুন।
একটি মসলিন কাপড়ে ছানা ছেঁকে নিন ও ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন (যাতে টকভাব চলে যায়)।
ভালো করে পানি ঝরিয়ে ছানা একটি পাত্রে নিয়ে হাত দিয়ে ৫-৭ মিনিট মাখুন নরম হয়ে আসা পর্যন্ত।
ময়দা মিশিয়ে আরও মসৃণ করুন (ঐচ্ছিক)।
ছানা থেকে ছোট ছোট বল বানান (সামান্য চ্যাপ্টা আকৃতি দিলে ভালো হয়)।
বলগুলো শক্ত করে বানাবেন না, নরম রাখতে হবে।
একটি পাত্রে চিনি ও পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করুন ও ফুটিয়ে নিন।
সিরাপে ছানার বলগুলো দিয়ে ১০-১২ মিনিট মাঝারি আঁচে সিদ্ধ করুন।
বলগুলো ফুলে বড় হয়ে গেলে তুলে নিন।
একটি ভারী তলার পাত্রে ১ লিটার দুধ জ্বাল দিন ও আধা ঘণ্টা ধরে নাড়তে থাকুন।
দুধ গাঢ় হয়ে এলে চিনি, এলাচ গুঁড়া ও কেশর মিশিয়ে আরও ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
সিরাপ থেকে ছানার বল তুলে হালকা চিপে অতিরিক্ত পানি বের করে নিন।
গাঢ় ক্ষীরে ছানার বলগুলো ডুবিয়ে ফ্রিজে ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন (স্বাদ শোষণের জন্য)।
পরিবেশনের সময় পেস্তা বা কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে নিন।
ছানা যেন খুব শক্ত বা খুব নরম না হয়।
ক্ষীর যেন খুব গাঢ় হয়, তাতে রসমালাই স্বাদ বেশি ভালো হবে।
রসমালাই ঠান্ডা অবস্থায় খাওয়া বেশি সুস্বাদু।
এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি ঘরেই রেস্তোরাঁ-স্টাইলের নরম ও মিষ্টি রসমালাই তৈরি করতে পারবেন। এটি পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি দারুণ উপহারও হতে পারে! 😊
আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন এর অর্থ হল: আপনি আমাদের ব্যবহারের শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন।