আজকের ডিজিটাল যুগে সাইবার অপরাধ ও হ্যাকিং একটি বড় হুমকি। ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংকিং ডিটেইলস, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট—এসব হ্যাকারদের টার্গেট হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা মেনে চললে আপনি হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নিজেকে হ্যাকিং থেকে রক্ষা করবেন।
জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করুন (অক্ষর, সংখ্যা ও বিশেষ চিহ্নের সমন্বয়ে, যেমন: P@ssw0rd#2024
)।
একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করবেন না।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার (LastPass, Bitwarden) ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখুন।
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু রাখুন (যেমন: OTP, ফিঙ্গারপ্রিন্ট)।
ফিশিং স্ক্যাম: অজানা ইমেইলে ক্লিক করবেন না, বিশেষত যেগুলোতে "জরুরি অ্যাকাউন্ট আপডেট" বা "পুরস্কার জিতেছেন" বলা থাকে।
ডাউনলোড লিঙ্ক: অপরিচিত ওয়েবসাইট থেকে ফাইল ডাউনলোড করবেন না।
URL চেক করুন: হাইপারলিঙ্কে মাউস হোভার করে দেখুন আসল লিঙ্কটি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
অপারেটিং সিস্টেম (Windows, macOS, Android) নিয়মিত আপডেট করুন।
অ্যান্টিভাইরাস (Kaspersky, Bitdefender) ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার স্ক্যান করুন।
ফায়ারওয়াল চালু রাখুন যাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস ব্লক হয়।
পাবলিক Wi-Fi-এ অনলাইন ব্যাংকিং বা শপিং করবেন না।
VPN (Virtual Private Network) ব্যবহার করে ইন্টারনেট ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করুন।
Wi-Fi কানেকশন ডিসকানেক্ট করে রাখুন যখন ব্যবহার করছেন না।
প্রাইভেসি সেটিংস কঠোর করুন (শুধু বন্ধুদের দেখাতে দিন)।
অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করবেন না।
পার্সোনাল তথ্য (জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর, ঠিকানা) শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।
ফোন/ল্যাপটপে লক (পিন, প্যাটার্ন, ফেস আনলক) ব্যবহার করুন।
বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি (ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস ID) চালু রাখুন।
ডেটা ব্যাকআপ রাখুন (Google Drive, iCloud বা এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে)।
অ্যাকাউন্ট লগইন অ্যাক্টিভিটি চেক করুন (যেমন: Gmail-এর "সিকিউরিটি" সেকশন)।
কোনো অস্বাভাবিক লগইন দেখলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
ক্রেডিট কার্ড/ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়মিত রিভিউ করুন।
কখনো পাসওয়ার্ড বা OTP কাউকে বলবেন না (ব্যাংক/কাস্টমার কেয়ার কলেও নয়)।
ফেক টেক সাপোর্ট কল এড়িয়ে চলুন (যারা দাবি করে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত)।
অতিরিক্ত লোভনীয় অফার (ফ্রি রিচার্জ, জ্যাকপট) বিশ্বাস করবেন না।
পাসওয়ার্ড দ্রুত পরিবর্তন করুন।
ব্যাংক/কার্ড ব্লক করুন (যদি ফাইন্যান্সিয়াল তথ্য লিক হয়)।
অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ফুল স্ক্যান করুন।
প্রভাবিত অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি টিম (Facebook, Google) কে জানান।
হ্যাকিং প্রতিরোধের মূল বিষয় হলো সচেতনতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। এই সহজ টিপসগুলো মেনে চললে আপনি সাইবার হামলার ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে পারবেন। মনে রাখবেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আপনার নিজের হাতে!
আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন এর অর্থ হল: আপনি আমাদের ব্যবহারের শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন।