বছরের একটি বিশেষ দিন, যেটি আমরা উৎসর্গ করি আমাদের প্রিয় বাবাদের উদ্দেশ্যে — সেটি হলো বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়। এটি এমন একটি দিন, যেদিন সন্তানেরা তাদের বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
বাবা দিবস পালনের সূচনা হয় ১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সোনারা স্মার্ট ডোড নামক এক নারী তার বাবার প্রতি সম্মান জানাতে এই দিবসটির প্রস্তাব দেন। তার বাবা ছিলেন একজন যোদ্ধা এবং একাই সন্তানদের বড় করে তুলেছিলেন। তার উৎসাহে ১৯১০ সালে প্রথম বাবা দিবস পালিত হয়।
বাংলাদেশেও দিনটি এখন বেশ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়। অনেক সন্তান এই দিনে বাবাকে উপহার দেয়, তাকে বিশেষভাবে সময় দেয়, কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে পোস্ট করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
বাবারা শুধু একজন অভিভাবক নন, তিনি সন্তানের প্রথম নায়ক, প্রথম শিক্ষক এবং জীবনের পথপ্রদর্শক। তার কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং ভালোবাসার মাধ্যমেই একটি পরিবার এগিয়ে যায়। বাবা দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাবা কতটা নিঃস্বার্থভাবে আমাদের জন্য কাজ করেন।
বাবা দিবস কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি আবেগ, একটি দায়িত্ববোধ। শুধুমাত্র এই দিনেই নয়, আমাদের উচিত প্রতিদিনই বাবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করা। কারণ, বাবা আছেন বলেই জীবনটা এত নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ।
আপনি এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করছেন এর অর্থ হল: আপনি আমাদের ব্যবহারের শর্তাবলী মেনে নিয়েছেন।